রস+আলো, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ তে প্রকাশিত
‘ঢেঁকি’
যেমন স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, তেমনি আমাদের দেশের ‘রাজনীতিবিদেরা’ তাঁদের
ঐতিহাসিক কিছু বুলি সব জায়গাতেই প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। অদূর ভবিষ্যতে
পরীক্ষার খাতায়ও হয়তো ছাত্ররাজনীতি করা কেউ সব প্রশ্নের রাজনৈতিক উত্তর
দিয়ে আসবেন, ঠিক এমন ঘটনার কল্পনাপ্রসূত কিছু রাজনৈতিক উত্তর লিখেছেন নাসিফ
চৌধুরী
[এখানের সব প্রশ্নই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হৈমন্তী’ গল্প অবলম্বনে]
হৈমন্তী গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
ছাত্রলীগের উত্তর:
হৈমন্তী একটি চমৎকার ছোটগল্প। রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম বিধায় গল্পটি পড়া হয়ে ওঠেনি! তবে গল্পের নামকরণ প্রসঙ্গে বলতে হয়, নামকরণটি মোটেও সার্থক হয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম এখানে পরিকল্পিতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। আমার ধারণা, কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দ্বারা এ গল্পটি রচিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাই, এ গল্পের নাম অনতিবিলম্বে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন’ করা হোক। এ গল্পের শুরুতেই মহাজোট সরকারের বিগত দিনগুলোর উন্নয়নের ইশতেহার তুলে ধরা হোক।
ছাত্রদলের উত্তর:
হৈমন্তী একটি চমৎকার উপন্যাস! তবে ‘হৈমন্তী’ নামটি আমার কাছে অত্যন্ত ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে হয়েছে। বিরোধী দলকে চক্রান্তমূলকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের নামকরণ করা হয়েছে।
লোকমুখে শুনেছি, এ গল্পে হৈমন্তীকে প্রচণ্ড নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। এ সরকার অন্যায়ভাবে আমাদের নেত্রীর ওপর নির্যাতন করেছে, তাঁকে বাড়িছাড়া করেছে। তাই এ উপন্যাসের নাম ‘গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’ করা হোক।
হৈমন্তীর মৃত্যুর জন্য কে দায়ী?
ছাত্রলীগের উত্তর:
প্রথমেই আমি হৈমন্তীর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি। হৈমন্তীর মৃত্যু জাতি সহজভাবে মেনে নিতে পারবে না। হৈমন্তী ছিল সব সময় সত্য ও নিষ্ঠার পক্ষপাতী। অন্যায়ের প্রতিবাদী। ঠিক আমাদের নেত্রীর মতো। তাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। আমি এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই এবং একই সঙ্গে হৈমন্তীর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাই। প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে শাস্তি দেওয়া হোক।
ছাত্রদলের উত্তর:
এই সরকারের দুঃশাসনে জনগণ আজ অতিষ্ঠ। তাদের অত্যাচারে মানুষ পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছে না। এই শাসনের কারণেই আজ হৈমন্তীকে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করতে হলো। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারের কাছে জবাব চাই। কিছু ছাত্রলীগ নেতার যোগসাজশে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এই সরকারের অপশাসন আর বেশি দিন জারি থাকলে খুব শিগগির দেশের প্রতিটি মানুষকে হৈমন্তীর মতো করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে। তাই আমি সরকারের কাছে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানালাম।
হৈমন্তী গল্প অবলম্বনে তৎকালীন সমাজব্যবস্থার রূপ তুলে ধরো।
ছাত্রলীগের উত্তর:
হৈমন্তী গল্পে তৎকালীন সমাজব্যবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ ছিল। বিগত জোট সরকারের আমলেও দেশে একই পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ দেশের জনগণ তা কোনো দিনও ভুলবে না। অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে তারা এই পাঁচ বছরে দেশকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করেছিল। হৈমন্তীর মতো তারা আমাদের নেত্রীকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। অল্পের জন্য তিনি গ্রেনেড হামলা থেকে রক্ষা পান। দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু জনগণের ভোটে দেশ আজ সেই অপশাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও সমাজব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো। এ জন্য মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
ছাত্রদলের উত্তর:
আরে ভাই, রাখেন তৎকালীন সমাজব্যবস্থা। এই সরকারের অত্যাচার মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। দেশজুড়ে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। তারা আজ মুক্তি চায়। তাই খুব শিগগির কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার পতনের ডাক দেওয়া হবে।
[এখানের সব প্রশ্নই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হৈমন্তী’ গল্প অবলম্বনে]
হৈমন্তী গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
ছাত্রলীগের উত্তর:
হৈমন্তী একটি চমৎকার ছোটগল্প। রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম বিধায় গল্পটি পড়া হয়ে ওঠেনি! তবে গল্পের নামকরণ প্রসঙ্গে বলতে হয়, নামকরণটি মোটেও সার্থক হয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম এখানে পরিকল্পিতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। আমার ধারণা, কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দ্বারা এ গল্পটি রচিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাই, এ গল্পের নাম অনতিবিলম্বে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন’ করা হোক। এ গল্পের শুরুতেই মহাজোট সরকারের বিগত দিনগুলোর উন্নয়নের ইশতেহার তুলে ধরা হোক।
ছাত্রদলের উত্তর:
হৈমন্তী একটি চমৎকার উপন্যাস! তবে ‘হৈমন্তী’ নামটি আমার কাছে অত্যন্ত ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে হয়েছে। বিরোধী দলকে চক্রান্তমূলকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের নামকরণ করা হয়েছে।
লোকমুখে শুনেছি, এ গল্পে হৈমন্তীকে প্রচণ্ড নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। এ সরকার অন্যায়ভাবে আমাদের নেত্রীর ওপর নির্যাতন করেছে, তাঁকে বাড়িছাড়া করেছে। তাই এ উপন্যাসের নাম ‘গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’ করা হোক।
হৈমন্তীর মৃত্যুর জন্য কে দায়ী?
ছাত্রলীগের উত্তর:
প্রথমেই আমি হৈমন্তীর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি। হৈমন্তীর মৃত্যু জাতি সহজভাবে মেনে নিতে পারবে না। হৈমন্তী ছিল সব সময় সত্য ও নিষ্ঠার পক্ষপাতী। অন্যায়ের প্রতিবাদী। ঠিক আমাদের নেত্রীর মতো। তাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। আমি এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই এবং একই সঙ্গে হৈমন্তীর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাই। প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে শাস্তি দেওয়া হোক।
ছাত্রদলের উত্তর:
এই সরকারের দুঃশাসনে জনগণ আজ অতিষ্ঠ। তাদের অত্যাচারে মানুষ পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছে না। এই শাসনের কারণেই আজ হৈমন্তীকে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করতে হলো। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারের কাছে জবাব চাই। কিছু ছাত্রলীগ নেতার যোগসাজশে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এই সরকারের অপশাসন আর বেশি দিন জারি থাকলে খুব শিগগির দেশের প্রতিটি মানুষকে হৈমন্তীর মতো করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে। তাই আমি সরকারের কাছে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানালাম।
হৈমন্তী গল্প অবলম্বনে তৎকালীন সমাজব্যবস্থার রূপ তুলে ধরো।
ছাত্রলীগের উত্তর:
হৈমন্তী গল্পে তৎকালীন সমাজব্যবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ ছিল। বিগত জোট সরকারের আমলেও দেশে একই পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ দেশের জনগণ তা কোনো দিনও ভুলবে না। অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে তারা এই পাঁচ বছরে দেশকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করেছিল। হৈমন্তীর মতো তারা আমাদের নেত্রীকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। অল্পের জন্য তিনি গ্রেনেড হামলা থেকে রক্ষা পান। দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু জনগণের ভোটে দেশ আজ সেই অপশাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও সমাজব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো। এ জন্য মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
ছাত্রদলের উত্তর:
আরে ভাই, রাখেন তৎকালীন সমাজব্যবস্থা। এই সরকারের অত্যাচার মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। দেশজুড়ে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। তারা আজ মুক্তি চায়। তাই খুব শিগগির কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার পতনের ডাক দেওয়া হবে।